ঢাকা , বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
হেরা ফেরি ৩-তে ফিরছেন টাবু বাশার-তিশার নতুন রোমান্সের গল্প ‘বসন্ত বৌরি’ ওজন কমাতে সার্জারি, প্রাণ গেল মেক্সিকান ইনফ্লুয়েন্সারের ‘স্কুইড গেম’ অভিনেত্রী লি জু-শিল আর নেই বিচ্ছেদের পর ফের নতুন প্রেম খুঁজছেন মালাইকা অরোরা? দেশের প্রেক্ষাগৃহে ‘বলী’ আসছে ৭ ফেব্রুয়ারি হামলার পর প্রথমবার জনসমক্ষে সাইফ আলী খান অবশেষে প্রকাশ্যে এলো চিত্রনায়িকা পপির স্বামী-সন্তানসহ ছবি সমালোচনা সহ্য না হলে উপদেষ্টা পদ ছেড়ে রাজনৈতিক দল করেন-রিজভী লালমনিরহাটে বিয়ে করে ফেরার পথে বরের মৃত্যু পুঁজি রক্ষার আন্দোলনে বিনিয়োগকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা কমাতে, একীভূতকরণে নজর দেয়ার সুপারিশ বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে আরও কমার আশঙ্কা বান্দরবান সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে কিশোরের পা বিচ্ছিন্ন ট্রেনের ধাক্কায় ট্রাকের চালক সহকারী নিহত জগন্নাথ হলে সরস্বতী পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে দুই উপদেষ্টা রমজান মাসে গ্যাস বিদ্যুতের বড় সংকটের শঙ্কা বাংলাদেশকে সহায়তা করছে ব্রিটিশ সংস্থা তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরতে হবে-নাহিদ ইসলাম লোকজনকে অতিষ্ঠ করে ফেলছে তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সরকারের উচিত গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মচারীদের দাবি পূরণ করা- আনু মুহাম্মদ

  • আপলোড সময় : ০১-০২-২০২৫ ০৪:১৫:৫১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০১-০২-২০২৫ ০৪:১৫:৫১ অপরাহ্ন
সরকারের উচিত গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মচারীদের দাবি পূরণ করা- আনু মুহাম্মদ
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংক আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত একটি প্রতিষ্ঠান। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া একটি প্রতিষ্ঠান যার কর্মচারীদের কোনো নিরাপত্তা নেই! এরকম একটি খ্যাতিমান প্রতিষ্ঠানে কর্মচারীদের সঙ্গে এত বৈষম্য ও অনিয়ম হয় এটা অবিশ্বাস্য। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা যে দাবিগুলো করেছেন তার প্রতি আমি পূর্ণ সমর্থন জানাই।’ গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে গ্রামীণ ব্যাংক চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে গ্রামীণ ব্যাংকের দৈনিক ভিত্তিক পিয়ন কাম গার্ডদের চাকরি স্থায়ীকরণ, শ্রম আইন অনুযায়ী সব সুবিধাদি প্রদান, আন্দোলন সংগঠন করার কারণে শাস্তিমূলক বদলি ও চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদ ও পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন কর্মচারীরা।
ব্যাংকটিতে কর্মরত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা জানান, দীর্ঘ ৩২ বছর যাবৎ দৈনিক ভিত্তিতে তারা কাজ করে আসছেন। কিন্তু তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করা হয়নি। এসব কর্মচারীরা ১৯৯২ সাল থেকে গ্রামীণ ব্যাংকে নির্যাতিত ও বৈষম্যের শিকার। গ্রামীণ ব্যাংক একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠান হলেও তাদের সরকারি ছুটি, ব্যাংকিং ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি এমনকি ঈদ-পূজাতেও কোনো ছুটি নেই।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফরিদপুর জোনে কর্মরত আহসান হাবিব বলেন, ব্যাংকের বৈষম্য দূর করতে ২০১২ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে আমরা আন্দোলন করে আসছি। আমরা বিভিন্ন সময়ে কর্তৃপক্ষ বরাবর স্মারকলিপি পেশ, মিছিল-মিটিং, সমাবেশ, সুধী সমাবেশ, সাংবাদিক সম্মেলন করেছি। ২০১৫ সালে গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্তর্ভুক্ত হয়। পরবর্তীতে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকেও আমাদের দাবি জানাই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শ্রম উপদেষ্টা বরাবর আমরা বেশ কয়েকবার দাবি তুলে ধরেছি। আমরা আমাদের দাবি প্রতিষ্ঠানে ৪০টি জোনাল অফিসের জোনাল ম্যানেজার, কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও তুলে ধরেছি। ২০১৮ সালের জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছি। প্রধান কার্যালয়ে কর্মসূচি পালনের সময় পুলিশি আক্রমণের শিকার হয়েছি। তিনি বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক দেশের একটি সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান। দেশের আর কোনো এনজিও প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্তর্ভুক্ত নয়। আমরা এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সব নিয়মকানুন মেনে চলি। আমরা কাজ করলে মজুরি পাই, না করলে নেই। তারপরও প্রতিষ্ঠান আমাদেরকে নানাভাবে শোষণ করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী বিদায়কালীন পেনশন দেয়ার কথা বলে প্রতি মাসে চার হাজার ৩০০ টাকা করে জমা করা হয়। যার পরিমাণ বছরে দাঁড়ায় ৫১ হাজার ৬০০ টাকা। আমাদের ২০ বছর চাকরি হলে গচ্ছিত টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ১০ লাখ ৩২ হাজার টাকা। কিন্তু প্রতিষ্ঠান সার্কুলার জারি করেছে আমরা ২০ বছর চাকরি করলে আমাদেরকে পাঁচ লক্ষ টাকা দেবে। এই সামান্য টাকা নিয়ে আমরা কি করব?
তাদের দাবিগুলো হলো-অবিলম্বে দৈনিক ভিত্তিতে পিয়ন-কাম-গার্ড হিসেবে কর্মরত কর্মচারীদের নিয়োগের ৯ মাস পর থেকে সার্কুলার অনুযায়ী স্থায়ীকরণ এবং আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে যাদেরকে নিয়োগ করা হয়েছে তাদেরও চাকরি স্থায়ীকরণ করতে হবে। নিয়োগপত্র, ছবিসহ পরিচয়পত্র, সবেতনে সব প্রাপ্ত ছুটি, বোনাসসহ বাংলাদেশের শ্রম আইন ও আন্তর্জাতিক শ্রম আইন অনুযায়ী প্রাপ্ত অধিকার দিতে হবে। গ্রামীণ ব্যাংকের চাকরিবিধি অনুযায়ী মাসিক বেতন, বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন, গ্র্যাচুইটি, ঋণ সুবিধাসহ সামাজিক নিরাপত্তার যাবতীয় সুবিধা দিতে হবে। আন্দোলন ও সংগঠন দমনে শাস্তিমূলক ছাঁটাই, বদলি বন্ধ করতে হবে। আন্দোলনের কারণে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল করতে হবে। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ বন্ধ করতে হবে। চাকরি স্থায়ীকরণ করে নিয়োগের শুরু থেকে সব প্রাপ্য পরিশোধ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, গ্রামীণ ব্যাংক চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আলাউদ্দিন আল মামুন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স